Usefulness of Honey(মধুর গুনাগুন নিয়ে কিছু কথা)



মধুর গুনাগুন নিয়ে কিছু কথাঃ



👉👉মধু রোগ নিরাময়ের জন্য এককভাবে, আবার কখনো ভেষজ দ্রব্যের সঙ্গে মিশ্রণ করে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
চলুন দেখে নেই সেই সম্পর্কে।

 
স্বরভাঙ্গা, সর্দি কাশিতে মধুর ব্যবহারঃ

১.চায়ের সাথে ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ আদার রস মিশিয়ে খেলে সর্দি ও শ্লেস্মা ভালো হয়।।
 

২.মধুর সাথে সমপরিমান বাসক পাতার রস এবং তুলসী পাতার রস মিশিয়ে সেবন করলে সর্দি ও কাশি ভালো।।
 ৩.মধুর সাথে সৈনধব লবন, আমলকি রস মিশিয়ে প্রতিদিন ১ চা চামচ করে পান করলে স্বরভাঙ্গা ও কাশি ভালো হয়।।

৪.মধুর সাথে হরতকি ও বসচূর্ণ মিশিয়ে ১ চাচামচ করে খেলে হৃদ রোগের কাজ করে।।
 

৫.১গ্লাস গরম পানির সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিযে খেলে সর্দি কাশি ভালো হয এবং ক্যালসিয়ামের অভাব পূর্ণ করে।।



৬.হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিদিন ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ আদার রস এক সাথে মিশিয়ে খাওয়া উচিত।।
৭.মধুর সাথে বেল ও আমগাছের বাকল গুড়া মিশিয়ে খেলে আমাশয় রোগ নিরাময় হয়।।
এছাড়া বড়ই গাছের ছালের চূর্ণের সাথে মিশিয়ে ও খেতে পারেন।।

 

৮.কোন জায়গা কেটে গিয়ে সেখানে ক্ষত হলে মধু লাগালে মলমের মতো উপকার পাওয়া যায়।।
 
৯.মোরির পানিতে বা সাধারণ পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে পেট ফাপা রোগ সেরে যায় এবং পাকস্থলী ভালো থাকে।।

১০.যারা দুর্বল তারা  মধুর সাথে  দুধ মিশিয়ে দিনে দুবার খেলে তাদের স্বাস্থ্য ভালো হয় ও শক্তি লাভ করে।।
১১.১চা চামচ মধুকে এক কাপ দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে প্রচুর শক্তি বৃদ্ধি পায়।
১২.গুড়ের রস ও মধু মিমিয়ে খেলে বমি বমি ভাব দূরীভুত হয়।।

১৩.চোখে সমস্যা থাকলে এক ফোটা করে মধু দিনে ৩ বার লাগাতে পারেন।।
 

১৪.গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেলে পাতলা পায়খানা ভালো হযে যায়।।
১৫.মধু ও ব্সক পাতার রস একসাথে করে মিশিয়ে খেতে পারলে যক্ষা রোগের  উপকার হয়।।
 

১৬.যক্ষ্মা রোগ ভালো করার জন্য ১ কাপ   পেঁয়াজের রস, ২৫০ গ্রাম ঘি এবং ২৫০ গ্রাম মধু মিশিয়ে একটা পাত্রে রেখে দিয়ে প্রতিদিন সকাল বিকাল খেলে যক্ষা ভালো হয়।।
 

১৭.রাসূল (সা.) বলেছেন, মধু হৃদপিন্ড-কে সতেজ করে। প্রতিদিন হাতের তালুতে অল্প পরিমাণ মধু নিয়ে চেটে খেলে হৃদরোগ ভালো  হয়।।এবং জার্মান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. ই কচ বলেছেন, ‘উপযুক্ত ঘাস খেয়ে ঘোড়া যেমন তেজী হয় তেমনি নিয়মিত সকালে এক চা-চামচ করে খাঁটি মধু খেলে হৃদপিন্ড শক্তিশালী হয়। এ ছাড়া মধু আয়ুও বৃদ্ধি করে।।
এবং গরম পানির সাথে মধু খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো হয়।।
 


১৮.মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ নামক দুই ধরনের সুগার থাকে। অবশ্য সুক্রোজ ও মালটোজও খুব অল্প পরিমাণে আছে। মধু নির্ভেজাল খাদ্য। এর শর্করার ঘনত্ব এত বেশি যে, এর মধ্যে কোনো জীবাণু ১ ঘণ্টার বেশি সময় বাঁচতে পারে না। এতে ভিটামিন এ, বি, সি প্রচুর পরিমাণ বিদ্যমান। অনেক প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানও আছে। যেমন- এনজাইম বা উৎসেচক, খনিজ পদার্থ (যথা পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ), এছাড়াও প্রোটিন আছে। মধুতে কোনো কোলস্টেরল নেই। সুস্থ অসুস্থ যে কেউ মধু খেতে পারেন। সুস্থ মানুষ দিনে দু’চা-চামচ মধু অনায়াসে খেতে পারেন। বেশি খেতে চাইলে শর্করা জাতীয় খাদ্য ভাত, রুটি, আলু কমিয়ে খেতে হবে। অন্যথা মোটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে পরিমিত পরিমাণ খেলে মোটা হওয়ার ভয় নেই। হজমের গোলমাল, হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস প্রভৃতিরোগে আধা চা-চামচ এর বেশি মধু না খাওয়াই ভালো। পোড়া, ক্ষত ও সংক্রমণের জায়গায় মধু লাগালে দ্রুত সেরে যায়।


লেখক মোঃ হাফিজুর রহমান

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)