কালোজিরার অবদান(Usefulness of Nigellaa)

                কালজিরার উপকারিতা

                                                                     


 ➤কালোজিরা সবার পরিচিত একটি নাম। কালো দানাগুলোর ভিতরে সৃষ্টিকর্তা কত সুন্দর  ক্ষমতা নিহিত রেখেছেন তা সত্যি অবাক করার মতো। আতদকাল থেকে কালোজিরা মানবদেহের অনেক রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে আসছে। এজন্য একে সকল রোগের মহঔষধও বলা হয়। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন, “তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করো, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্ব রোগের মুক্তি আছে ।

 

➥কালোজিরের মধ্যে দেওয়া আছে ,নাইজেলোন, থাইমোকিনোন, লিনোলিক অ্যাসিড, ওলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম ,ফসফেট, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-বি , নায়াসিন, ভিটামিন-সি, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট। তাই প্রতিদিন এজন্য আমাদের সুস্থ্য থাকার জন্য অবশ্যই কালোজিরা সেবন করা অতি প্রয়োজন।

 

 

 

. বাতের ব্যাথা কমারনার জন্য ব্যথার জায়গা ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে কালোজিরার তেল মালিশ করলে ব্যাথা কমে যায়। এক চা- চামচ কাঁচা হলুদের রসের সঙ্গে এক চা চামচ কালোজিরার তেল চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে তিনবার খেতে হয়।তাহলে, - সপ্তাহে টানা খেলে ফল পাওয়া যেতে পারে ।

 

. সর্দি-কাশি ভালো করার জন্য এক চা চামচ কালোজিরার তেলের সঙ্গে চা চামচ মধু বা এক কাপ লাল চায়ের সঙ্গে আধ চা চামচ কালোজিরের তেল মিলিয়ে দিনে তিনবার খাইলে সর্দি কাশি ভালো হয়।

পাশাপাশি, এক চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু দুই চা-চামচ তুলসি পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ভালো হয়।

 

. নিয়মিত কালোজিরা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে । শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে। এতে করে যে কোনও জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত রাখে এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন হয়।

 

. কালোজিরা ডায়াবেটিস সেরে তুলতে  খুব উপকারী। এটি রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে দেয়। এতে করে কালোজিরা ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।

.শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করে রোদে আধ ঘণ্টা বসে থাকলে এবং পাশাপাশি চা চামচ কালোজিরার তেলে চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলেও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে।

 

 

. নিয়মিত কালোজিরা খেলে দেহে রক্ত সঞ্চালন থাকে । মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি ঘটে; যা আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

 

কালোজিরার থেকে তৈরি তেল আমাদের দেহে বাসা বাঁধা দীর্ঘমেয়াদী রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া সাধারণভাবে কালোজিরা খেলেও অনেক ধরনের উপকার মিলে।




. কালোজিরা শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ালে দ্রুত শিশুর দৈহিক মানসিক বৃদ্ধি ঘটে।

. প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা রাখুন খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত । যারা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক উপকারী।

১০. যেসব মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের জন্য মহৌষধ হলো কালিজিরা। প্রসূতি মায়েরা প্রতি রাতে শোয়ার আগে -১০ গ্রাম কালিজিরা মিহি করে দুধের সাথে খেলে মাত্র ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে। এছাড়া সমস্যা সমাধানে কালিজিরা ভর্তা করে ভাতের সাথে খেলেও ফলাফল পাওয়া যাবে। এছাড়া চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দৈনিক ৩বার করে নিয়মিত খেলে শতভাগ উপকার হবে।

এছাড়াও নিয়মিত কালোজিরা সেবনে চুলের গোড়ায় পুষ্টি ঠিকমতো পাবে, ফলে চুলের বৃদ্ধি ভালো হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়।এজন্য কালোজিরা কে মহৌষধ বলা হয়।

 

১২. যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরার অবদান অতুলনীয় ।

 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ