কাঁচা রসুনের উপকারিতা কি?
রান্না করা রসুনের থেকেও কাঁচা রসুনের উপকারিতা অনেক বেশি। তাই রসুনের সম্পূর্ণ উপকারিতা পেতে হলে কিছু কাঁচা রসুন খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
১।কাঁচা রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে।
২.বিপাক্রিয়া পরিবেশ দূষণের ফলে যে ফ্রি র্যাডিক্যালস তৈরি হয় তা হার্ট তথা সমস্ত শরীরের জন্য ক্ষতিকর৷ রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেই ক্ষতি খুব ভাল ভাবে ঠেকাতে পারে৷এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতেও সাহায্য করে।লেড টক্সিসিটি কমাতে সাহায্য করে।
৩।সংক্রমণজনিত রোগবালাই কমাতে সাহায্য করে।
৪।খালি পেটে রসুন খেলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কাজ করতে পারে।
৫।রসুনের সাপ্লিমেন্ট বা কাঁচা রসুন খেলে ফ্লু এবং কমন কোল্ড তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
৬।যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৭।ত্বক মসৃন রাখতে সাহায্য করে।।
কাঁচা রসুন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
হাড়ের জোর বাড়ায়।
১.বিভিন্ন গবেষণা করে জানা গেছে যে, রসুনে থাকা ‘অ্যালিসিন’ উপাদান যকৃতে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে যদি অতিরিক্ত
পরিমান রসুন খাওয়া হয়।
২. খালি পেটে রসুন খেলে ডায়রিয়া ডাইরিয়া হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
৩. রসুনে থাকা সালফার যা পেটে গ্যাস তৈর করতে পারে ।
৪.যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী বলা হয়েছে খালি পেটে তাজা রসুন সেবন করলে বমিভাব বুকজ্বালা পোড়া ও বমি হতে পারে।
৫.রসুনের এমন কিছু উপাদান আছে যা জিইআরডি বা গ্যাস্ট্রোয়েসোফাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ হয়ে থাকে ।হার্ভার্ড মেডিকাল স্কুলের এক গবেষণায় বলা হয়েছে।
৬.রসুনে
থাকা সালফারের জন্য মুখে দুরগন্ধ হয়।
৭.রসুন রক্তের ঘনত্ব কমানোর জন্য অনেকটাই দায়ী ।
কারণ এতে রক্ত অতিরিক্ত পাতলা হয়ে আভ্যন্তরীন রক্তপাত শুরু হয়।
৮.গর্ভবতী নারীর জন্য রসুন মারাত্মাক ক্ষতি করতে পারে
কারন এতে ‘লেইবার পেইন’ বা প্রসব বেদনা বেড়ে যেতে পারে।
৯.রসুন
মাত্রাতিরিক্ত খাওয়ার কারণে রক্তচাপ কমে যাবে ফলে দেখা দিতে পারে নিম্ন রক্তচাপ এবং মাথা ঘোরাতে পারে ।
১০.একাধিক ক্লিনিকাল স্টাডিতে পাওয়া গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রসুন সেবন করলে বেশি ঘাম ঝরাড় সম্ভাবনা রয়েছে।
১১.নারী যোনাঙ্গে ‘ইস্ট’জনীত প্রদাহের চিকিৎসা চলাকালে রসুন খাওয়া যাবে না ।কারণ রসুন নারী যৌনাঙ্গের সংবেদনশীল টিস্যুতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে ।
১২.বেশি রসুন খাওয়ার জন্য ‘হাইফিমা’ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ ‘আইরিস’ ও ‘কর্নিয়া’র মাঝে রক্তক্ষরণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি , ফলে হারাতে পারে দৃষ্টিশক্তি।
0 মন্তব্যসমূহ