Ginger(আদার অবাক করা উপকারিতা)




আদার অবাক করা উপকারিতাঃ


👉👉আদা অতি প্রয়োজনীয় একটি ওষধি মসলা।তাই এই ওষুধি বিস্ময় চীনা ঔষধ শাস্ত্র এবং ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে রোগ নিরাময়ী মসলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়্। আধুনিক বিজ্ঞানও এবার তার পক্ষে যুক্তি দিচ্ছে। মাথা ব্যাথা, বমি এবং নারীদের ঋতুস্রাবকালীন পেটের ব্যাথাসহ নানা রোগের ওষধ হিসেবে আদা অনেক উপকারি ।

আদার সাতটি উপকার দেওয়া হলো:
 ১.আদায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এটি একটি প্রাকৃতিক ব্যাথা-নাশক এবং জর প্রতিরোধী হিসেবেও কাজ করে।

 

২.আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আদাতে রয়েছে বেশিরভাগ ঠাণ্ডা-সর্দিজনিত রোগের পেছনে দায়ী রাইনো ভাইরাস দমনের শক্তিশালি রাসায়নিক উপাদান।

৩.আদা আর্থ্রাইটিসের ব্যাথা দূর করে এবং শরীরের জোড়াগুলোতে সৃষ্ট ব্যাথা এবং আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তদের প্রদাহ দূর করে। আদাতে রয়েছে জিঞ্জারোল যা অসাম্য ভূমিকা রাখে। এটি প্রদাহজনক সাইটোকিন গঠন প্রক্রিয়াকে দমন করে থাকে।
আদার নির্যাস এ ব্যাপারে অনেক উপকারি ।
৪.মাংসেপেশির ব্যাথা লাঘব করে জিমে যাওয়ার আগে আদা খাওয়া প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা গেছে, আদা একটি প্রাকৃতিক ব্যাথা উপশমকারী এবং প্রদাহরোধী হিসেবে কাজ করে থাকে। জার্নাল অফ পেইনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন গ্রাম আদা খান তারা ব্যায়াম করার ২৪ ঘন্টা পর মাংসপেশিতে অনেক কম ব্যাথা বোধ করে থাকেন। ক্রীড়াবিদরাও আদা থেকে উপকৃত হতে পারেন। প্রদাহ এবং মাংসপেশির ব্যাথায় ট্যাবলেটের চেয়েও  অনেক বেশি কার্যকরী হলো আদা।

৫.নারীদের ঋতুস্রাবকালীন ব্যাথা লাঘব করে আদার সবচেয়ে বিস্ময়কর উপকারিতা হলো এটি নারীদের ঋতুস্রাবকালীন ব্যাথা লাঘব করে। জার্নাল অফ অল্টারনেটিভ অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঋতুস্রাবকালীন ব্যাথা উপশমের ক্ষেত্রে আদা ইবুপ্রোফেন ওষুধের সমান কাজ করে থাকে।

৬.পেটফাঁপা দূর করে আপনার জানেন আদা বমিরোধী। কিন্তু এটাই আদার একমাত্র পাকস্থলীজাত উপকারিতা নয়। আদা আপনার হজম শক্তি বাড়াবে এবং আপনাকে কষ্টকর এবং অস্বস্তিদায়ক পেট ফাঁপা থেকে রক্ষা করবে। বায়ুনাশক ঔষধি উপাদান হিসেবে আদা পাচক রস এবং হজম প্রক্রিয়ার উদ্দীপনা বাড়ায়। পাশাপাশি এতে রয়েছে জিনজিয়াবিন এনজাইম যা প্রোটিন ভাঙ্গতে সহায়তা করে থাকে।



৭.মাইগ্রেনের ব্যাথাও দূর করে মাইগ্রেনের ব্যাথা সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাথা। আদার রয়েছে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সংশ্লেষণ দমনের ক্ষমতা। যা রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোকে স্ফীত হওয়া এবং চাপ সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাইগ্রেনের ব্যাথার চিকিৎসায় আদা ওষুধের মতোই ভুমিকা রাখে ।

৮.স্মৃতি শক্তির সংরক্ষণ করে আদা আপনার মস্তিষ্ককে আলঝেইমার থেকে রক্ষা করে। এই স্নায়ুক্ষয়ী রোগটি সৃষ্টি হয় মস্তিষ্কে অপ্রয়োজনীয় অ্যামিলয়েড প্রোটিন জমা হওয়ার জন্য।পরীক্ষাগারের আদা স্নায়ুক্ষয়ী প্রোটিন থেকে আপনার মস্তিষ্কের কোষগুলোকে প্রতিরক্ষা দিতে পারে। এভাবে আলঝেইমার রোগও প্রতিরোধ করতে সক্ষম। তবে মানুষের ওপর ব্যাপারে এখনো কোনো গবেষণা বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়নি।

 

আদা খাওয়ার কয়েক পদ্ধতিঃ

. আদায় সামান্য পানি দিয়ে থেতলে নিন। আদার রস আদা গরম পানিতে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন এবং চা বানানোর জন্যে এই পানি ব্যবহার করুন।

 . আদা ছুলে, সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে খাবেন । হজমে এই মিশ্রণ খুব ভালো কাজ করে।

. সারা দিনে ৫০ গ্রাম আদা খেতে পারেন। পাউডারড জিঞ্জার আদা চামচ করে দিনে বার খেতে পারেন।

৪.দুধ, মসলা, আদার রস, চা পাতা দিয়ে আরো একবার ফুটিয়ে নিন এবং কাপে চিনি দিয়ে পরিবেশন করুন এবং ওপরে সামান্য এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে পারেন।

. হজমে সাহায্য করার জন্যে আদা দিয়ে সিরাপ বানিয়ে খেতে পারেন। তৈরি আদার সিরাপ। দুপুরে বা রাতের খাবারের পরে এই সিরাপ খেতে পারেন।

. ভিনিগারে আদার টুকরো, লবণ, মরিচ দিয়ে কিছু দিন রাখুন। খাওয়ার সময় আচার হিসেবে খেতে পারেন।

এভাবে নিয়মিত আদা ব্যবহার করতে পারেন । 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ